অন্য শিশুর মতো কার্টুন দেখার নেশা ছিল শিশুটির। এই কার্টুন দেখে অভিনয় অভিনয় খেলতে গিয়ে গলায় ফাঁস জড়িয়ে মৃত এক শিশু। বাড়িতে তখন কেউ ছিলেন না। ঘরে একাই খেলছিল চতুর্থ শ্রেণিতে পড়া ছেলেটি। পরে ভাই দেখতে পায় দাদার ঝুলন্ত দেহ। গলায় তার গামছা জড়ানো ছিল। পরে পরিবারের লোকেরা ছুটে আসেন। জানা গেছে, মৃত শিশুর নাম রজনীকান্ত সাহা। বছর নয়েকের রজনীর বাড়ি গাজোল থানার আলমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধোওয়াদিঘি গ্রামে। বাবা সমীর সাহা পেশায় মজুর। ছেলের অপ্রত্যাশিত মৃত্যুর ঘটনায় শোকে পাথর হয়ে গেছেন মা সরস্বতী সাহা। রজনীরা ২ ভাই। সে বাড়ির বড়। স্থানীয় নার্সারি স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল সে। ভাই রণিও নার্সারিতে পড়াশোনা করে। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রজনী একাই বাড়িতে খেলছিল। বাবা সমীর মালদা শহরে এসেছিলেন মজুরের কাজে। মা এলাকাতেই একটা কাজে গেছিলেন। ভাই বাইরে খেলছিল। ওই সময় ঘরে ঘরে খেলতে খেলতে এরকম ঘটনা ঘটিয়ে ফেলে বলে জানা গেছে। খানিকক্ষণ বাদে ভাই রনি দাদার সঙ্গে খেলবে বলে ডাকতে এলে দেখ দাদার ঝুলন্ত দেহ। বাবা সমীর সাহা ছেলের মৃত্যুর জন্য টিভির আপত্তিজনক কার্টুনগুলিকে দায়ী করেছেন। বলছেন, ‘ছেলের টিভি দেখার নেশা ছিল। যখন তখন কার্টুন দেখতে বসে যেত। টিভি দেখেই অনেক কিছু অনুকরণ করার চেষ্টা করত সে। আমাদের সামনে আপত্তিজনক কিছু করলে আমরা বকাঝকা করেছি। কিন্তু এরকম ঘটনা যে ঘটিয়ে ফেলবে, আমরা তা কল্পনাতেও ভাবতে পারি না।’